মোঃ জয়নাল আবেদীন টু্ক্কু:
খুলে দেওয়া হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির উপবন পর্যটন কেন্দ্র। এতে পর্যটক এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। নাইক্ষ্যংছড়ির এ পর্যটন স্পষ্টটি আজ (১৯ আগস্ট) খুলে দেন উপজেলা প্রশাসন। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করার নির্দেশনা রয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অবশ্যই মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেকটি পাহাড় ঘেরা অপরুপ সুন্দর্যের এক জনপদের নাম। বিশেষ করে সেখানে রয়েছে আকর্ষনীয় এক জুলন্ত ব্রীজ, দৃষ্টিনন্দন ওয়াস টাওয়ার,লেকের পানিতে ছড়াতে ছোট ছোট বোট,দোলনা বিভিন্ন মাচাং ঘরসহ আরো কত কিছু। মহামারি করোনায় সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল উপজেলার একমাত্র পর্যটন কেন্দ্রটি।
পার্বত্য এলাকার এ পর্যটন কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পর্যটন খাতে অনেক টাকা লোকসান গুনতে হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। সারাদেশের ন্যায় আজ থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন পর্যটন কেন্দ্র খোলার প্রথম দিনে সে খানে দর্শনার্থীদের ভিড় জমতে দেখা গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী
পর্যটন কেন্দ্রে আগত পর্যটকদের মানতে হবে স্বাস্থ্য বিধি তাই মাস্ক পরিধান ব্যতিত পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করলে গুনতে হবে জরিমানা ও শাস্তি। পর্যটকদের সুবিধার্তে পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশ মুখে রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও
সাবান। পর্যটকদের হাত জীবাণুমুক্ত করতে এ সুবিধা প্রদান করেন নাইক্ষ্যংছড়ি প্রশাসন।
উপবন পর্যটন কেন্দ্রের কাউন্টারে দায়ীত্বে থাকা সোলতান আহাম্মদ জানান,নাইক্ষ্যংছড়ির পর্যটন কেন্দ্রটি সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বন্ধ ছিল আজ খোলা হয়েছে। পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। মাষ্ক ছাড়া কোন পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। আমরা আগত পর্যটকদের বরণে প্রস্তুত।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস জানান, সরকারী ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে উপজেলার সকল পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খোলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র খোলায় নাইক্ষ্যংছড়ি জনসাধারণ ও ভ্রমণ পিপাসুসহ দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ফিরে পেল প্রাণ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।